কক্সবাংলা ডটকম(৪ জুলাই) :: ভারতকে ট্রানজিট দিলে কী ক্ষতি হবে- সেই প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ট্রানজিট তো অলরেডি দেওয়া আছে। ত্রিপুরা থেকে বাস ঢাকা হয়ে কলকাতা যাচ্ছে।
সেখানে ক্ষতিটা কী হচ্ছে? বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে দেশের মানুষ। আমরা কিছু অর্থ উপার্জন করছি।
আসামের রুমালীগড় হয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুরে ডিপোতে তেল আসছে। সেটা নাটোর পর্যন্ত আনব। ক্ষতিটা কী হয়েছে? বরং আমরা তেলটা সস্তায় কিনতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়ান রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। সারা বিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট করেছি ভারতে।
এটাতো কোনো একটা দেশ না, আঞ্চলিক ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ সুবিধার জন্য করা হয়েছে।’
বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
ট্রানজিটের সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বায়নের যুগে আমরা নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না।
আজ পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ; ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ- সব ক্ষেত্রেই আমরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা নেপাল, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ – এই চারটি দেশ নিয়ে প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ট্রানজিটের ব্যবস্থা করেছি।
নেপাল থেকে আমরা জলবিদ্যুৎ কেনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে গ্রিড লাইন করা, আমরা সেই চুক্তি করেছি। সেটা আমরা কার্যকরও করছি।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব রেলপথ, নৌপথ যোগাযোগ বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ভুটান থেকে একটি রাস্তা যাচ্ছে মায়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত। অথচ সেই রাস্তাটা যাচ্ছে বাংলাদেশকে বাইপাস করে।
সারা বিশ্বের মধ্যে যে রোড হচ্ছে তা থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন। কেন আমরা বিচ্ছিন্ন থাকব?
ভারত চাচ্ছিল ভুটান থেকে এই রাস্তাটা বাংলাদেশ-ভারত-মায়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ সব কিছু কত সুবিধা হতো।
সেটাও খালেদা জিয়া নাকচ করে দিয়েছিলেন। আমি প্রথমবার সরকারে এসে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা যুক্ত হতে পারিনি।’
Posted ১১:২১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta